সততা-আদর্শ ছাড়া সফলতা আসবে না: প্রধানমন্ত্রী

সততা-আদর্শ ছাড়া সফলতা আসবে না: প্রধানমন্ত্রী




ছাত্রলীগকে আস্থা ধরে রাখতে রাজনীতি করার নির্দেশনা দিয়েছেন সংগঠনটির অভিভাবক ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা এ নির্দেশনা দেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন,জিয়া,এরশাদ, খালেদা জিয়া ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসীদের জায়গায় পরিণত করা হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ছাত্ররা আমাদের ভবিষ্যত। ভবিষ্যেতে তারা দেশকে পরিচালনা করবেন। তাদের যদি বিপথে নামানো হয়, রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য তাদের ব্যবহার করা হয় তাহলে তারা দেশকে নেতৃত্ব দেবে কীভাবে?

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সততা-আদর্শ ছাড়া সফলতা আসবে না। সাময়িকভাবে নামডাক আসতে পারে, অর্থবিত্ত হতে পারে। কিন্তু দেশের ইতিহাসে মনে রাখার মতো কিছু করতে পারবেন না।

ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক বলেন, ২০২০ সাল। এই সালের ৪টা জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে। এই বছরের ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী আমরা পালন করব। ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল আমরা মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছি।

তিনি বলেন, পাকিস্তান সরকার আমাদের ভাষার অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করে ছাত্রলীগ। আমরা দেখেছি, যখনই কোনো সংগ্রাম হয়েছে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, শেখ মুজিব ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে নিউক্লিয়াস ফর্ম গঠন করেছেন। সকল আন্দোলনের সূতিকাগার হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের নির্দেশনা দিতেন যেন সেই নির্দেশনা সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ছাত্রলীগ ক্রান্তিকালে ভূমিকা রেখেছে।যখন আমার বাবা জেলে ছিলেন ছাত্রলীগের নেতারা যোগাযোগ করতেন আমার মায়ের সঙ্গে। মা ছাত্রলীগ নেতাদের যেভাবে নির্দেশনা দিতেন, নেতারা সেইভাবে নির্দেশনা পালন করতেন।

আমি চাই ছাত্রলীগ যেন সবসময় নীতি বজায় রেখে রাজনীতি করে। জাতির পিতা বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ছাত্রলীগকে কাজ করে যেতে হবে বলেন শেখ হাসিনা।

এর আগে ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরে পায়রা উড়িয়ে, পতাকা উত্তোলন করে এবং জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি।

সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে সংগঠনটির ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় কার্জন হলে কেক কাটা হয়।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান কেন্দ্রের পাশাপাশি সারাদেশের ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। আগেই সবার কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়।সংগঠনটির ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বর্ণাঢ্যভাবে পালন করতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post